-->

Tuesday, 30 December 2014

Some luxury foods of world/পৃথিবীর কয়েকটি বিলাস বহুল খাবার


লিনার পিজ্জা
লিনার পিজ্জা image
পৃথিবীর কয়েকটি বিলাস বহুল খাবার
প্রথমেই বলতে হয় পিজ্জার কথা। ইতালির শেফ লিনা দোভিওলার (Lena DoviOla)'র তৈরি 'লুইস-স্টানিস্লাস-জেভিয়ার' (Louis-Stanislas-Xavier) পিজ্জা অসাধারণ এক খাবার। বন্ধুরা, এর এক-একেকটি টুকরার দাম কতো জানেন ? ৭৯ হাজার ৯'শ ৬১ রেনমিনপি। যার মানে হলো ১০ লাখ ৮ হাজার টাকা। লেনা দোভিওলা বলেন, বিশ্বের অদ্বিতীয় উপাদান দিয়ে তৈরি এ পিসা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অতিথি এ পিজ্জা তৈরির জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানান। এ পিজ্জায় ব্যবহৃত লবণ সাধারণ কোনো লবণ নয়। অস্ট্রেলিয়ার মারি নদী (Murray River)থেকে সংগ্রহ করা হয় সে লবণ।








অস্ট্রেলিয়ার Macadamia

অস্ট্রেলিয়ার Macadamia images
Macadimia
অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকাদানিয়া বিশ্বের সবচেয়ে দামী বাদাম জাতীয় খাবার। এ খাবার একসময় অস্ট্রেলীয় মহাদেশের অধিবাসীদের প্রধান খাবার ছিল। এখন এটি খুব দামী একটি মিষ্টি জাতীয় খাবার। এতে রয়েছে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলে এর দু'ধরনের গাছ রয়েছে। প্রতি বছর এ খাবারটি ৪০ টনের বেশি উত্পাদিত হয় না। অস্ট্রেলিয়াতেই ম্যাকাদানিয়ার দাম প্রতি কিলোগ্রাম ১৯৫ রেনমিনপি বা ২৪৫৭ টাকা।














ক্রোকাস স্যাটিভাস (Crocus sativus)

ক্রোকাস স্যাটিভাস (Crocus sativus)images
Sativus
ক্রোকাস স্যাটিভাস (Crocus sativus) স্টেমেন বিশ্বের সবচেয়ে দামী মশলা। এর বিস্ময়কর কার্যকরিতা রয়েছে। মানুষ হাত দিয়ে স্টেমেন সংগ্রহ করেন। এরপর সেগুলোকে ভালোভাবে শুকানো হয়। ২.২৫ লাখ স্টেমেন শুকানোর পর এর পরিমাণ দাঁড়ায় মাত্র ৫০০ গ্রাম। একটি দামী ডিশ রান্না করতে সর্বোচ্চ ৬টি ক্রোকাস সাটিভাইসের স্টেমেন ব্যবহার করা যায়। এ পরিমাণ স্টেমেন ব্যবহার করা হলে খাবারে প্রচুর সুগদ্ধ হয়। এক কেজি ক্রোকাস স্যাটিভাসের স্টেমেনের দাম ৩৮,৯৮৬ রেনমিনপি বা ৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা।

















আলমাস ক্যাভিয়ার

আলমাস ক্যাভিয়ার image
সামুদ্রিক মাছের ডিম বা ক্যাভিয়ার খেতে কার না ভালো লাগবে। বন্ধুরা কি জানেন, কালো বা ধুসর রঙের ক্যাভিয়ার বা কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে দামী ক্যাভিয়ার নয়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান থেকে রপ্তানিকৃত আলমাস ক্যাভিয়ার বিশ্বের সবচেয়ে দামী ক্যাভিয়ার। ১০০গ্রাম আলমাস ক্যাভিয়ারের স্থানীয় মূল্য ১২,৯৯৫ রেনমিনপি বা ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।











মহাকায় সাদা মাশরুম

বিশ্বের সবচেয়ে দামী মাশরুম হলো মহাকায় সাদা মাশরুম। এ ধরণের মাশরুমের দাম নির্ধারণ করা বেশ কঠিন। কারণ এ জাতীয় মাশরুম প্রায়ই নিলামে বিক্রি হয়। ২০০৪ সালে একটি ৮৫০ গ্রামের সাদা মাশরুম ৩ লাখ রেনমিনপি বা ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল। ২০০৭ সালে হংকংয়ের তিন অধিবাসী ১.৭৫ লাখ রেনমিনপি দিয়ে ৭৫০ গ্রাম ওজনের একটি সাদা মাশরুম কিনেছিলেন।










লা বোন্নোতে (La Bonnotte) আলু
লা বোন্নোতে (La Bonnotte) আলু image
ফ্রান্সের Mr Anwar MuJie island চাষ করা হয় লা বোন্নোতে আলু, যা বিশ্বের সবচেয়ে দামী আলু। প্রতি বছরে এ আলু'র উত্পাদন ১০০টনের বেশি হবে না। প্রতি কেজি এ আলু'র দাম ৪৮১৭ রেনমিনপি বা ৬১ হাজার টাকা।















ওয়াগিউ (Wagyu) ব্র্যান্ডের গরুর মাংস

জাপানের ওয়াগিউ গরুর মাংস হলো বিশ্বের সবচেয়ে দামী গরুর মাংস। ওয়াগিউ ব্র্যান্ডের গরুর মাংস বিশ্বের সবচেয়ে সেরা গরুর মাংস হিসেবে পরিচিত। প্রতি ২০০ গ্রামের দাম ৬৫০ রেনমিনপি বা ৮,২০০ টাকা।






ভন ইসেন প্লাটিনাম ক্লাব স্যান্ডুইচ (Von Essen Platinum Club Sandwich)
ভন ইসেন প্লাটিনাম ক্লাব স্যান্ডুইচ (Von Essen Platinum Club Sandwich) image
বিশ্বের সবচেয়ে দামী স্যান্ডউইচ হলো ভন ইসেন প্লাটিনাম ক্লাব স্যান্ডুইচ। এ স্যান্ডউইচ খেতে খুব সুস্বাদু। বিশেষ ধরনের উপাদান দিয়ে তৈরি হয় এর পাউরুটি। এরকমন একটি স্যান্ডউইজ খেতে চাইলে আপনাকে খরচ করতে হবে ১০৭১ রেনমিনপি বা সাড়ে ১৩ হাজার টাকা।








লি পারকার মারদিয়ান (LEParker Meridien) হোটেলের তৈরি অমলেটটির দাম সবচেয়ে বেশি। এ অমলেটটি খেতে আপনার খরচ হবে ৬৪৯৮ রেনমিনপি বা ৮১ হাজার ৯০০ টাকা।

বিশ্বের সবচেয়ে দামী মাশরুম হলো মহাকায় সাদা মাশরুম

মহাকায় সাদা মাশরুম


বিশ্বের সবচেয়ে দামী মাশরুম হলো মহাকায় সাদা মাশরুম। এ ধরণের মাশরুমের দাম নির্ধারণ করা বেশ কঠিন। কারণ এ জাতীয় মাশরুম প্রায়ই নিলামে বিক্রি হয়। ২০০৪ সালে একটি ৮৫০ গ্রামের সাদা মাশরুম ৩ লাখ রেনমিনপি বা ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল। ২০০৭ সালে হংকংয়ের তিন অধিবাসী ১.৭৫ লাখ রেনমিনপি দিয়ে ৭৫০ গ্রাম ওজনের একটি সাদা মাশরুম কিনেছিলেন।

বিশ্বের সবচেয়ে দামী মাশরুম

ট্রাফল(Truffle): বিশ্বের সবচেয়ে দামী (মাশরুম) খাবার

ট্রাফল প্রকৃতিতে কদাচিৎ দেখতে পাওয়া তীব্র সুগন্ধ যুক্ত মাশরুম। এর ফ্রুট বডির গাত্র অ-মসৃন, অ-সমতল দেখতে অনেকটা আলুর মত। চওড়া পাতা ও ক্যালক্যারিয়াস মৃত্তিকা সমৃদ্ধ বনানীতে এই মাশরুম বসন্তকালে ও বৃষ্টি মৌসুমে হতে দেখা যায়। ইহা মাটির নিচে হয় বিধায় সহজে খুজে পাওয়া যায়না। এ মাশরুম অনুসন্ধানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পোষা কুকুর বা শুঁকর ব্যবহার করা হয়। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় ১৯৮২ সালে ফ্রান্সে ১০০০ মেট্রিক টন ট্রাফল সংগ্রহ করা হয়েছিল যা বর্তমানে নেমে দাঁড়িয়েছে ৫০-৯০ টনে।
truffle mushroom


এর অনন্য স্বাদ ও গন্ধের কারনে বিশ্বে ট্রাফল দামি মাশরুমের খেতাব নিজের দখলে নিতে সক্ষম হয়েছে। এক পাউন্ড ট্রাফল সাধারণত ৩৬০০/= ডলার মুল্যে বিশ্ব বাজারে লেনদেন হয়। দুষ্প্রাপ্যতা ও চোরা কারবারিদের হাতে পড়ে মাঝে মধ্যে ১৫০,০০০/= ডলার মুল্যেও প্রতি পাউন্ড বিক্রি হতে দেখা গেছে। ২০১০ সালে ম্যাকাউ এ নিলামে ২ পাউন্ড ট্রাফল ৩৩০,০০০/= ডলার রেকর্ড মুল্যে বিক্রি হয়েছিল। আর তাই ট্রাফল হান্টার তাদের কুকুরকে অন্য যে কোন কিছুর চাইতে বেশী ভালোবাসে। একজন ট্রাফল হান্টার অভিব্যক্তি; আমি আমার স্ত্রীকে ভালোবাসি; কিন্তু আমার শিকারী কুকুরটাকে ও কোন অংশে কম নয়।

ট্রাফল টিউবারেসি পরিবার ও এসকোমাইকোটিনা উপবিভাগের অন্তরভুক্ত একপ্রকার ছত্রাকের ফ্রুট বডি। ফ্রান্সে ট্রাফলকে ব্লাক ডায়মন্ড আবার কোথাও কোথাও একে মাটির স্বর্ন বলা হয়।

                                                                                                           --সুত্র বিডি নিউস ২৪ 

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাশরুম

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাশরুম

ডা. মো. বজলুল করিম চৌধুরী
সহযোগী অধ্যাপক, এমবিবিএস, এমফিল, পিএইচ ডি
আমাদের দেশে খাদ্য তালিকায় সদ্য সংযোজিত একটি নাম “মাশরুম”।এখন  সারা বছরই নানা রকম স্বাদের কোনো না কোনো মাশরুম এদেশে চাষ হইতেসে। 
খাবার মাশরুমগুলো আমাদের রসনা তৃপ্তি এবং খাদ্যপ্রাণ যোগিয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, এদেরও রয়েছে রোগ নিরাময় কিংবা প্রতিরোধি নানাবিধ চমৎকার গুণাগুণ। জাতভেদে এরা বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। ওয়েস্টার মাশরুমের বেশ ক’টি জাত আমাদের দেশের জলবায়ুতে সারা বছরই চাষ হচ্ছে। এটি খেতেও যেমন সুস্বাধু তেমনি এর রয়েছে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ব্রেইনস্ট্রোকসহ নানাবিধ রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা।



খাদ্যগুণ বিশ্লেষণে দেখা যায় মাশরুম উচ্চ মাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার। শুধু তাই নয় এই প্রোটিনের গুণ এবং মান শুধুমাত্র প্রাণিজ প্রোটিনের সাথেই তুলনীয়, কারণ অনেকেরই জানা যে প্রাণিজ প্রোটিনই উচ্চ মানসম্পন্ন প্রোটিন যা অত্যাবশ্যকীয় এমাইনো এসিডে সমৃদ্ধ এবং সেগুলো উদ্ভিদজাত প্রোটিনে পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু মাশরুম প্রোটিনে রয়েছে সবগুলো অত্যাবশ্যকীয় বা essential এমাইনো এসিড। প্রাণিজ প্রোটিন আহরণ করতে গিয়ে তার সাথে দেহের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কিংবা চর্বি আহরণ করতে হয়, অথচ মাশরুম থেকে সেই একই মানের প্রোটিন আহরণ করা যায় কোনো ক্ষতিকর চর্বি গ্রহণ ব্যতিরেকেই। পরিমাণগত দিক বিবেচনায় দেখা যায় জাত ভেদে শুকনা মাশরুমে রয়েছে ২৫-৪০ ভাগ প্রোটিন যা মাছ কিংবা মাংস থেকে কম তো নয়ই বরং কোনো কোনো মাশরুমে তার পরিমাণ অনেক বেশি।
মাশরুমে খাবারের প্রয়োজনীয় ৭টি উপাদানই আমাদের দেহের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যমান। এতে কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের পরিমাণ কম এবং প্রোটিন বেশি থাকায় প্রয়োজনীয় শক্তি জোগানোর পাশাপাশি শরীর গঠন, ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধিসাধন এবং ইমিউন সিস্টেমকে সবল রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। প্রায় সব মাশরুমই আয়রন, আয়োডিন, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, জিংক, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সেলোনিয়ামসহ প্রায় সবগুলো প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ। তাছাড়া আমাদের উপযোগী প্রায় সবগুলো ভিটামিন রয়েছে মাশরুমে, রয়েছে অতি প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি-৩, যা উদ্ভিদজাত খাবারে সচরাচর দেখা যায় না। মাশরুমে রয়েছে উন্নত মানের আঁশ, যা রক্তের গ্লুকোজ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণসহ কোষ্ঠকাঠিন্য, অন্ত্রের নানাবিধ প্রদাহ, এমনকি প্রাণঘাতি ক্যান্সার নিরাময়েও ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এছাড়াও খাদ্যগুণের পাশাপাশি মাশরুমে রয়েছে নানাবিধ ঔষধি উপাদান, যা বিভিন্ন ধরনের রোগ-ব্যাধি প্রতিরোধ কিংবা প্রতিকারে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
এটা এখন প্রমাণিত যে, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক ইত্যাদি রোগ নিরাময়ে মাশরুম ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে কিছু মাশরুম ক্যান্সার রোগ নিরাময়েও কার্যকর। তাছাড় নানা ধরনের জীবাণু ঘটিত রোগ নিরাময়ে কোনো কোনো মাশরুম ব্যাপক ভূমিকা রাখে। ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি এইডস আক্রান্ত অধিকাংশেরই মৃত্যুর কারণ বিভিন্ন ধরনের Opportunistic Infaction এবং ক্যান্সার। সুতরাং এ সমস্ত Opportunistic Infaction নিরাময়ের মাধ্যমে মাশরুম এইডস রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা জানি মাশরুমে রয়েছে জানা-অজানা জৈব-অজৈব অনেক রাসায়নিক পদার্থ ও খাদ্যমান। তাই অতি সহজেই এইডস রোগীদের জন্য রোগ নিরাময়ক আদর্শ খাবার হতে পারে মাশরুম। এই বিবেচনায় দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্বের নানা দেশে এইডস নিরাময়ে মাশরুমের ব্যবহার প্রচলিত। গবেষণায় দেখা গেছে মাশরুমে রয়েছে সেলেনিয়াম, যা এইডসের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখে।
“ভিটামিন এ” সমৃদ্ধ মাশরুম শিশুদের মৃত্যু হার কমানো এবং তাদের দৈহিক গঠনের জন্য কার্যকর। তাই অজস্র Micronutrientসমৃদ্ধ মাশরুম এইডস আক্রান্ত বয়স্কদের জন্যও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত একটি খাবার। 
সম্প্রতি বিশ্বের দ্বিতীয় জনপ্রিয় ‘শীতাকে মাশরুম’-এর উপর ব্যাপক গবেষণায় দেখাগেছে এইডস চিকিৎসায় মাশরুমটির ভূমিকা অপরিসীম। ‘শীতাকে মাশরুম’-এ রয়েছে Lentinan নামের একটি রাসায়নিক উপাদান। এই Lentinan Ges Lentinula edodes Mycelium (LEM) নির্যাস, টিউমার নিরাময়ে কার্যকর। শুধু তাই নয় এ দু’টি উপাদান শরীরের Immune system কে উজ্জিবিত করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তাই শীতাকে মাশরুম নিয়মিত খেলে শুধু যে টিউমারই নিরাময় হবে তা নয়, এই মাশরুম AIDS রোগের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম। আবার সুস্থ লোকের খাবার টেবিলে নিয়মিত ‘শীতাকে মাশরুম’-এর উপস্থিতি তাদের Immune system কে সতেজ রেখে AIDS আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাকেও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। ‘শীতাকে মাশরুম’-এর আরও একটি দিক নিশ্চিত যে এর Lentinan শরীরের Natural killer কোষগুলোকে উজ্জিবিত করে, যার অর্থ দাঁড়ায় নিয়মিত এই মাশরুম সেবনে শুধু মা-ই নয় HIV ঝুঁকিতে থাকা তার গর্ভস্থ শিশুও AIDS সংক্রামন থেকে নিরাপদ থাকতে সক্ষম। তাছাড়া Lentinan এবং LEM উভয়েরই রয়েছে সরাসরি HIV এর Replication প্রতিরোধক ক্ষমতা, ফলে এরা শরীরে ক্রমবর্ধমান ভাইরাসের সংখ্যা সীমিত রেখে HIV এবং AIDS নিরাময় করে।
আমরা দেখেছি মাশরুম জৈব-অজৈব অসংখ্য উপকারী রাসায়নিক উপাদানে সমৃদ্ধ একটি খাবার। সুতরাং মাশরুম সেবন দেহের Inflammation প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে এটাই স্বাভাবিক। গবেষণায় দেখা গেছে মাশরুমে অবস্থানরত কাইটিন (Chitin) উপাদানটি সাধারণ Inflammation যেমন- পোকায় কামড়ানো এবং অল্প-স্বল্প পোড়াক্ষত সারাতে কার্যকর। এছাড়াও ওয়েস্টার মাশরুমে অবস্থানরত কিছু Myochemicals যেমন- Flavonoids, Phenolics এবং Polysaccharides ইনফ্লামেশনে এর ওপর কার্যকর ভূমিকা রাখে। এরা Inflammation তরান্বিত কারক কিছু উপাদান যেমন Tumor Necrosis Factor-á(TNF-á), Interleukin 6 (IL-6), Prostaglandin E2 (PGE-2), Nitric Oxide (NO) Ges Interferon-y (INF-y)- র নিঃসরনকে বাড়িয়ে দিয়ে উক্ত কাজগুলো সম্পাদন করে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে সাদা বাটন, শীতাকে ও মাইতাকে মাশরুম বিভিন্ন ধরনের Inflammation উদ্দিপক Adhesion Molecule এর কার্যকারিতা কমিয়ে Inflammation বিরোধি ভূমিকা রাখে। পর্যবেক্ষণে আরও জানা গেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অমরত্বের মাশরুম (Mushroom of immortalitay) বলে খ্যাত ঋষি মাশরুমের নানাবিধ উপাদান টিউমার নিরোধক (Anti Tumor), Inflammation বিরোধি (Anti- inflammaroty), বয়ঃবৃদ্ধি রোধক, (Anti-aging) এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বর্ধক (Immunomodulatory) গুণ রয়েছে। এছাড়াও এই মাশরুম মানব দেহে হারপিজ ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এবং এইচআইভি’র বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর। ঋষি মাশরুমে রয়েছে গ্যানোডারিক এসিড (Ganoderic acid) যা লিভারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসমূহকে ক্ষতিকর রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। তাছাড়াও সম্প্রতি বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে নানা ধরনের তাজা মাশরুম কিংবা তাদের নির্যাস Inflammation বিরোধি কাজ করে মূলতঃ তাদের মধ্যে অবস্থানরত Polysaccharides, â-Gulcan এর কারণে।
পৃথিবীর নানা দেশে গবেষণায় দেখা গেছে Chronic inflammation তথা Granuloma-র উপর মাশরুমের কার্যকারিতা অনেক এবং প্রায় সব মাশরুমেরই এ গুণ রয়েছে। এতকিছুর পরেও মাশরুমকে কোনোক্রমেই ঔষধ বলা যাবে না। সামগ্রিক বিবেচনায় একে একটি উচ্চমানের ঔষধি গুণ সম্পন্ন খাবার বলা সম্ভব, যা নিয়মিত গ্রহণে অনেক ধরনের রোগবালাই থেকে মুক্ত রেখে আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে সক্ষম।
লেখক: ডা. মো. বজলুল করিম চৌধুরী, এমবিবিএস, এমফিল, পিএইচ ডি ও সহযোগী অধ্যাপক, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ।

                                                                                                                         --সুত্র বিবর্তন 

কীভাবে বানাবেন আলু মাশরুম স্টির ফ্রাই






নিজে আমিষ খান কিন্তু বাড়িতে কোনও অতিথি এল যিনি একবারে নিরামিষ খান তখন তাকে কী দেবেন কী বানাবেন এই ভেবে মাথা খারাপ হয়ে যায় বিভিন চিন্তা ভাবনার পর শেষে সেই পনিরে এসেই চিন্তাভাবনার অবসান হয় অবশ্য এক্ষেত্রে  মাশরুখ একটা ভাল বিকল্প হতে পারে

মাশরুম ভাল করে রান্না করলে খেতে সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকরও বটে আর এটা অনেক উপকারী আর সবচেয়ে বড় কথা, চটজলদি বানিয়ে দেওয়া যায় আপনি বলবেন বুঝলাম কিন্তু মাশরুম দিয়ে কী বানাব কুব সহজ আলু মাশরুম স্টির ফ্রাই তাড়াহুড়োর মধ্যেও বানিয়ে ফেলতে পারবেন আর এই রেসিপিটির একটি সুবিধা হল, একে স্টাটার হিসাবেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন আবার মেন মিলের সাইড ডিশ হিসাবেও
তাহলে আসুন ঝটপট দেখে নিই কীভাবে বানাবেন আলু মাশরুম স্টির ফ্রাই
পরিবেশন - জনের জন্য
প্রস্তুতির সময় - ১০ মিনিট
রান্নার সময় - ১০ মিনিট
উপকরণ
মাশরুম - কাপ (এক একটি মাশরুমকে অর্ধেক করে কাটা)
আলু - ২টি মাঝারি মাপের
পেঁয়াজ - টা বড় মাপের (কুচনো)
রসুন - ২টি (থেঁতো করে চাইলে নাও দিতে পারেন)
অলিভ অয়েল - টেবিল চামচ
গোলমরিচ - চা চামচ
নুন - স্বাদমতো
জল - কাপ
তৈরী পদ্ধতি:
প্রথমে মাশরুম গুলি ভাল করে ধুয়ে পরিস্কার করে অর্ধেক করে কেটে নিন এবার গরম জলে মিনিট ভিজিয়ে ছেঁকে তুলে নিন
আলুগুলি খোসা ছাড়িয়ে ওয়েজেস আকারে কেটে নিন অর্থাৎ মাছের ঝোলে আলু দেওয়ার সময় যে আকারে লম্বা আলু কাটেন ঠিক সেভাবেই প্রয়োজনে ছবিতে দেখে নিন
আলু কাটা হয়ে গেলে ভাল করে ঝুয়ে নুন জলে মিনিট ভিজিয়ে রাখুন
একটি ফ্রাইং প্যানে তেল গরম করুন
লবন মাখানো আলু এতে ভেজে তুলে রেখে দিন
এতে পেঁয়াজ দিয়ে দিন পেঁয়াজ ভেজে নিন
পেঁয়াজ ভাল করে ভাজা হয়ে গেলে তাতে রসুন  দিন এতে গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে দিন
পেঁয়াজ রসুন ভাল করে ভাজা হয়ে গেলে এতে নুন মাখানো আলু দিয়ে দিন
এবার এতে মাশরুমও দিয়ে দিন প্যানের মশলার সঙ্গে আলু মাসরুমকে ভাল করে মেশান
এবার ঢাকা দিয়ে - মিনিট রান্না করুন
প্রয়োজনে - টেবিল চামচ জল দিতে পারেন
মাশরুম ভাল করে সিদ্ধ হয়ে গেলে তাতে স্বাদমতো লবন দিন
পানি শুকিয়ে পুরো ভাজা ভাজা করে নিন
প্রয়োজনে আধ চা চামচ অরিগ্যানো ছড়িয়ে দিতে পারেন

স্টাটার হিসাবে বা পিস পোলাও- সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন

মাশরুম এর যত গুন


বিশ্ব জোড়া একটি বহুল প্রচলিত সবজির নাম হলো মাশরুমমাশরুম একটি ভেষজ গুণ সম্পন্ন সামান্যক্যালরিযুক্ত খাবার এই খাবারটি কিন্তু অতিরিক্ত ওজন কমাতেও সাহায্য করেলন্ডন ইউনিভার্সিটি অফ বাফ্যালো পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগ পরিচালিত একটিগবেষণায় দেখা গেছে পোর্টোবোলো প্রজাতির মাশরুম খাদকের রক্তে শর্করারমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ওজন কমায়
সাধারণত স্যাঁতসেঁতে ছায়াযুক্ত জায়গায় জন্মায় যা সবজি বা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা যায় মাশরুমে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল অল্প পরিমাণ শর্করা মাশরুম ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ মারণব্যাধি ক্যান্সার ছাড়াও আরো অনেক রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে কমার্শিয়াল জাত গুলোর (Wester, Straw Button) প্রতি ১০০ গ্রাম শুকনা মাশরুমে গড়ে নিম্নলিখিত পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়:
 প্রোটিন:
মাশরুম এ প্রোটিন এর পরিমান (২৫-৫০%)সম্পূর্ণ প্রোটিনের পূর্বশর্ত হলো মানব দেহের অত্যাবশ্যকীয় ৯টি এমাইনো এসিডের উপস্থিতি। মাশরুমে অপরিহার্য ৯টি এমাইনো এসিডই প্রশংসনীয় মাত্রায় রয়েছে কারণে প্রোটিনের অন্যান্য সব উৎসকে বলা হয় মাশরুম
ফ্যাট:
মাশরুম এ (-%) ফ্যাট আছেএছাড়া স্ফিঙ্গলিপিড আরগেস্টেরল থাকায় এর মান আরও উন্নত। এছাড়া মাশরুমের ফ্যাটে লিনোলিক এসিড আছে যা শরীর সুস্থ্য রাখতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে 
কার্বোহাইড্রেট:
মাশরুমে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম এবং তা পানিতে দ্রবনীয়। ফলে মাশরুমের কার্বোহাইড্রেড শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মাশরুমে আঁশের পরিমাণও বেশি। জাত ভেদে ১০-২৮% আঁশ পাওয়া যায়। ফলে ডায়াবেটিকস রোগীদের ইনসুলিনের চাহিদা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
 ভিটামিন মিনারেল:
শুকনা মাশরুমে ৫৭-৬০% ভিটামিন মিনারেল আছে মাশরুমের মোট ১০০ ভাগ এর মধ্যে পটাসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ প্রায় ৭০ ভাগ, যার মধ্যে আবার ৪৫ ভাগই হচ্ছে পটাসিয়াম। ভিটামিন এর মধ্যে রয়েছে বি-, বি-, বি-, ভিটামিন-C ভিটামিন-D, নিয়াসিন রিবফ্লাভিন। এছাড়া কপার সেলিনিয়াম যথেষ্ট পরিমাণে থাকায় চুল পড়া রোধসহ মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।