নিজে আমিষ খান।
কিন্তু বাড়িতে কোনও অতিথি
এল যিনি একবারে নিরামিষ
খান। তখন
তাকে কী দেবেন কী
বানাবেন এই ভেবে মাথা
খারাপ হয়ে যায়।
বিভিন চিন্তা ভাবনার পর
শেষে সেই পনিরে এসেই
চিন্তাভাবনার অবসান হয়।
অবশ্য এক্ষেত্রে মাশরুখ
একটা ভাল বিকল্প হতে
পারে।
মাশরুম
ভাল করে রান্না করলে
খেতে সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকরও বটে আর এটা
অনেক উপকারী। আর
সবচেয়ে বড় কথা, চটজলদি
বানিয়ে দেওয়া যায়।
আপনি বলবেন বুঝলাম কিন্তু
মাশরুম দিয়ে কী বানাব। কুব
সহজ আলু মাশরুম স্টির
ফ্রাই। তাড়াহুড়োর
মধ্যেও বানিয়ে ফেলতে পারবেন। আর
এই রেসিপিটির একটি সুবিধা হল,
একে স্টাটার হিসাবেও আপনি ব্যবহার করতে
পারেন আবার মেন মিলের
সাইড ডিশ হিসাবেও।
তাহলে
আসুন ঝটপট দেখে নিই
কীভাবে বানাবেন আলু মাশরুম স্টির
ফ্রাই।
পরিবেশন
- ৩ জনের জন্য
প্রস্তুতির
সময় - ১০ মিনিট
রান্নার
সময় - ১০ মিনিট
উপকরণ
মাশরুম
- ২ কাপ (এক একটি
মাশরুমকে অর্ধেক করে কাটা)
আলু -
২টি মাঝারি মাপের
পেঁয়াজ
- ১ টা বড় মাপের
(কুচনো)
রসুন
- ২টি (থেঁতো করে চাইলে
নাও দিতে পারেন)
অলিভ অয়েল - ১ টেবিল
চামচ
গোলমরিচ
- ১ চা চামচ
নুন -
স্বাদমতো
জল - ১ কাপ
তৈরী পদ্ধতি:
প্রথমে
মাশরুম গুলি ভাল করে
ধুয়ে পরিস্কার করে অর্ধেক করে
কেটে নিন। এবার
গরম জলে ১ মিনিট
ভিজিয়ে ছেঁকে তুলে নিন।
আলুগুলি
খোসা ছাড়িয়ে ওয়েজেস আকারে
কেটে নিন। অর্থাৎ
মাছের ঝোলে আলু দেওয়ার
সময় যে আকারে লম্বা
আলু কাটেন ঠিক সেভাবেই। প্রয়োজনে
ছবিতে দেখে নিন।
আলু কাটা হয়ে গেলে
ভাল করে ঝুয়ে নুন
জলে ১ মিনিট ভিজিয়ে
রাখুন।
একটি ফ্রাইং প্যানে তেল
গরম করুন।
লবন মাখানো আলু এতে
ভেজে তুলে রেখে দিন।
এতে পেঁয়াজ দিয়ে দিন। পেঁয়াজ
ভেজে নিন।
পেঁয়াজ
ভাল করে ভাজা হয়ে
গেলে তাতে রসুন দিন। এতে
গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে দিন।
পেঁয়াজ
রসুন ভাল করে ভাজা
হয়ে গেলে এতে নুন
মাখানো আলু দিয়ে দিন।
এবার এতে মাশরুমও দিয়ে
দিন। প্যানের
মশলার সঙ্গে আলু ও
মাসরুমকে ভাল করে মেশান।
এবার ঢাকা দিয়ে ৭-৮ মিনিট রান্না
করুন।
প্রয়োজনে
৩-৪ টেবিল চামচ
জল দিতে পারেন।
মাশরুম
ভাল করে সিদ্ধ হয়ে
গেলে তাতে স্বাদমতো লবন
দিন
পানি শুকিয়ে পুরো ভাজা
ভাজা করে নিন।
প্রয়োজনে
আধ চা চামচ অরিগ্যানো
ছড়িয়ে দিতে পারেন।
স্টাটার
হিসাবে বা পিস পোলাও-এ সঙ্গে পরিবেশন
করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment